একটা সময় ছিল যখন একটা কম্পিউটার এর আকার এত বড় ছিল যে একটা ঘর লাগত এটা
রাখতে। তারপর এর আকার হয়ে গেল একটা ফ্রিজের মত। ক্রমানয় ছোট হতে হতে এটা এখন
আমাদের বই রাখা থলেতে এসে জায়গা করে নিয়েছে। এটা শুধু ছোট হয়নি এতে যুক্ত হয়েছে
নানান সুবিধা। সুবিধার সাথে কিছু সমস্যাও যুক্ত হয়েছে। তারমধ্যে একটি সমস্যা হচ্ছে ল্যাপটপ এক থেকে
দুই বছর পুরনো হলে
ল্যাপটপের ব্যাটারির আয়ু ধীরে ধীরে কমতে থাকে। এ ক্ষেত্রে কিছু পদক্ষেপ নিয়ে
ব্যাটারির আয়ু বাড়ানো সম্ভব।
আমি প্রথমেই যা
বলব তা ল্যাপটপের
ডিসপ্লে এর বেপারে। উজ্জ্বলতা বেশি থাকলে অতিরিক্ত চার্জ ব্যয় করে। এতে ব্যাটারির আয়ু
দ্রুত কমে। তাই ল্যাপটপের উজ্জ্বলতা যতটা সম্ভব কমিয়ে রাখুন। কিবোর্ডের ব্যাকলাইট
বন্ধ রাখুন।
ল্যাপটপে ইউএসবির
মাধ্যমে যুক্ত করার
ডিভাইস, যেমন পেনড্রাইভ, এক্সটার্নাল
ড্রাইভার, ইউএসবি কেব্ল্, ইউএসবি
রাউটার ইত্যাদি লাগিয়ে রাখলে চার্জ দ্রুত শেষ হয়। কাজ শেষ হলে এ ডিভাইসগুলো সরিয়ে
ফেলুন।
ল্যাপটপ
অতিরিক্ত গরম হলে এর ভেতরের পাখা দ্রুত ঘুরতে থাকে। এতে অতিরিক্ত চার্জ খরচ হয়। এই
অতিরিক্ত গরম হওয়া ঠেকাতে ল্যাপটপ কুলার ব্যবহারের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
ইন্টারনেট এর সাথে সংযুক্ত হয় এমন সফটওয়্যার প্রয়োজন না থাকলে আনস্টল করে
দেন। যেমন ফেসবুক, স্কাইপ ইত্যাদি। কারন এগুলো কিছুক্ষন পর পর ইন্টারনেট এর সাথে সংযগ হতে চায়। এতে আপনার র্যাম,
প্রসেসর, ব্যাটারি সবগুলোই ব্যবহৃত হয়।
ল্যাপটপ
স্ট্যান্ডবাই মোডে না রেখে হাইবারনেট মোডে রাখুন।
ল্যাপটপে গেম খেলা বন্ধ করুন। কারন গেম খেললে আপনার প্রসেসর অতিরিক্ত গরম
হয়। এতে ব্যাটারি এবং প্রসেসর দুটাতেই চাপ পরে।
অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার আনস্টল করে দিন। এতে কিছুটা হলেও ব্যাটারি ব্যাকআপ
পাবেন।